লিংকিন পার্ক ও চেষ্টার বেনিংটন

 

লিংকিন পার্ক ও চেষ্টার বেনিংটন



গত তিন সপ্তাহ আগে সুরোজ দা দিল্লি থেকে কলকাতায় transfer হয়েছে। তাই এখন এখানেই থাকছে। প্রত্যেক রবিবারের মত তার কাকাতো ভাই মৃগাঙ্ক সুরোজ দার বাড়ি গিয়ে হাজির।
মৃগাঙ্ক - জানো সুরোজ দা annual fest এ western singing এ এবার আমি একটা প্রাইজ পেয়েছি।
সুরোজ - বাহ গানটা তাহলে ভালই রপ্ত করেছিস তবে কি গান করলি?
মৃগাঙ্ক- linkin park এর ভোকালিস্ট এর Chester Bennington কে tribute করে numb আর in the end এর একটা mash-up কম্পোজ করেছিলাম! জানোই তো কিছুদিন আগে chester bennington মারা গেল!
সুরজ - জানব না আবার;আমার শোনা প্রথম ব্যান্ড linking park ই ছিল। Favorite band ও বটে। অনেক ওঠাপড়ার পরই তারা আজ এতটা পরিমাণে সাফল্য অর্জন করেছিল ! আচ্ছা তবে তুই এটা কি জানিস , তুই যে এই লিংকিন পার্ক কিংবা chester bennington এর কথা বলছিস এর কোনটাই যখন ব্যান্ড শুরুর দিকে ছিল না।
মৃগাঙ্ক - কোনটাই ছিল না মানে???
সুরোজ - ঠিক আছে তাহলে আজ Linkin Park আর chester bennington সম্পর্কেই আলোচনা করা যাক।
1996 সালের দিকে Mike Shinoda, Brad Delson, Rob Bourdon তিন হাই স্কুল পড়ুয়া ব্যান্ডটি তৈরি করে। তবে প্রথমদিকে এর নাম লিংকিন পার্ক ছিলনা। Zero নামে তারা ব্যান্ডটি চালু করেছিল!
তখন তাদের কাছে সেরকম musical instrument না থাকা সত্ত্বেও তারা মাইক শিনোডার বেডরুমে একটা ছোটখাটো স্টুডিও বানিয়ে রিহার্সেল করত। পরবর্তীতে হাই স্কুল শেষে dave Phoenix, mark wakefield, joe hann তাদের ব্যান্ডে যোগ দান করে। প্রচন্ড rehearsal এর মধ্যে দিয়ে যাওয়া সত্বেও তারা সমস্ত মিউজিক কোম্পানি সঙ্গে কন্টাক্ট সাইনে ব্যর্থ হয়। এরূপ চরম ব্যর্থতার মুহূর্তে ব্যান্ডটি প্রায় ভেঙে পড়ে। তাদের ভোকালিস্ট wakefield, গিটারিস্ট phoenix একে একে ব্যান্ডটি ছেড়ে দেয়।
মৃগাঙ্ক- যাব্বাবা তাহলে ব্যান্ডটি ভেঙে গেল??? আর chester bennington ???
সুরোজ - হ্যাঁ এখানেই চেষ্টার এর আগমন আসলে arizona তে থাকাকালীন চেষ্টারও একটা ব্যান্ডের সন্ধান করছিল ! Zomba মিউজিকের ডাইরেক্টর zeff blue তাকে সর্বপ্রথম এই zeo বলে ব্যান্ডটির সন্ধান দেয়। তখন member ছেড়ে চলে যাওয়ার কারনে ব্যাংকটির অবস্থা খুব খারাপ হয়ে গিয়েছিল , কিন্তু chester এর ব্যান্ড যোগদানে band টির revive হয়। শিনোডা এবং বেনিংটনের আসাধারণ সমন্বয়ের কারণে ব্যান্ডটি অচলাবস্থা থেকে জেগে উঠে । কিন্তু তা সত্বেও তারা কোন music recording কোম্পানির সাথে চুক্তি করতে ব্যর্থ হয়।
মৃগাঙ্ক- এতে সম্পূর্ণ ব্যর্থতার গল্প
সুরোজ- ব্যর্থতায় হল সফলতার মূল চাবিকাঠি! ব্যর্থতা মানুষকে এমন কিছু জিনিস শেখায় যা হয়ত সফলতা কোনদিনও শেখাতে পারে না। যাইহোক chester যোগদানের পরে তারা তাদের ব্যান্ডের নাম পরিবর্তন করে হাইব্রিড থিওরি রাখে। পরবর্তীতে হাইব্রিড থিওরি কে পরিবর্তন করে লিংকিন পার্ক করা হয়।
মৃগাঙ্ক - আচ্ছা এই লিংকিন পার্ক এর মানেটা কি?
সুরোজ - হাহাহা, তারও পেছনে এক গল্প আছে। আসলে স্যান্টা মনিকায় Lincoln park বলে একখানা পার্ক রয়েছে। সেই পার্কের পার্কের পাশ দিক দিয়ে chester bennington রোজ গাড়ি করে যাতায়াত করত । আর সেখান থেকেই এই নামের আইডিয়াটা আসে। Lonclon চেঞ্জ হয়ে হয় linkin আর parkটা একই থাকে!
এইতো মাঝখানে কথা বলিস না তো আমি মেইনস্ট্রিম থেকে সরে যাচ্ছি! ধৈর্য ধর সবকিছুর উত্তর পাবি!
কোথায় যেন ছিলাম?
মৃগাঙ্ক - ঐযে তা সত্বেও মিউজিক চুক্তি স্বাক্ষরে ব্যর্থতা।
সুরোজ- ও হ্যাঁ! অবশেষে সেই jomba মিউজিকের ডিরেক্টর যে চেষ্টারকে Linkin park সম্পর্কে সন্ধান দিয়েছিল সেই zeff blue warner bros মিউজিকে সঙ্গে এই ব্যান্ডটির চুক্তি স্বাক্ষরের সাহায্য করে। এরপর থেকে লিংকিন পার্কেকে আর পেছনে ঘুরে তাকাতে হয়নি।
সালটা 2001 লিংকিন পার্কের সর্বপ্রথম অ্যালবাম দা হাইব্রিড থিওরি রিলিজ হয়। সবচেয়ে অবাক করা বিষয় হল তাদের এই অ্যালবাম প্রথম বছরেই 4.8 মিলিয়ন কপি বিক্রি হয়। যা 2001 সালের most successful album বলে গণ্য করা হয়। crawling , one step closer এর মতন গানগুলির জন্য, অ্যালবামটি best hard rock album of 2001 এবং Grammy award for new artist পায়। এই সময় তাদের পুরনো মেম্বার dave phoenix আবার ব্যান্ডে যোগ দান করে!
এরপর 2002 সালে তারা ঘোষণা করে তাদের second album meteora প্রকাশিত হতে চলেছে। যার নাম গ্রীসের একটি অঞ্চলের নাম মিটিওরার নামে দেওয়া হয়েছে। অবশেষে 2003 সালে এই অ্যালবামটি প্রকাশিত হয়। অ্যালবাম প্রকাশিত হওয়ার এক সপ্তাহের মধ্যেই চার লক্ষ কপি বিক্রি হয়। faint, numb, somewhere i belong বা breaking the habit এর মতন গানগুলো এই অ্যালবামটি অমর করে তোলে। Somewhere i belong গানটি mtv best music video award পায়‌। এছাড়া ভিডিও মিউজিক অ্যাওয়ার্ডে বর্ষসেরা আর্টিস্ট হিসেবে লিংকিন পার্ক এবং বর্ষসেরা গান হিসেবে numb কে বিবেচিত করা হয়। usa তে 2003 সালে এই অ্যালবামটি হল তিন নম্বর সবচেয়ে বেশি বিক্রিত অ্যালবাম।
2004 সালে Linkin Park remix album, jay z এর সাথে কোলাবোরেশন বের করে। Mike Shinoda ও পাশাপাশি একটি fort minor বলে hiphop ব্যান্ড প্রতিষ্ঠা করে।
এরপর 2007 সালে আসে তাদের তৃতীয় mainstream অ্যালবাম minutes to midnight. অ্যালবামটি প্রকাশিত হওয়ার প্রথম সপ্তাহেই ছয় লাখ কপি বিক্রি হয় । আগের অ্যালবাম গুলোর মতই এই অ্যালবাম বিলবোর্ডে শীর্ষস্থান দখল করে। given up, leave out all the rest, bleed it out এর মতন গানগুলো তাদের আগের নু মেটাল genre থেকে কিছুটা সরে এসে কম্পোজ করা হয়। এবং শ্রোতাদের positive review গানগুলো স্বীকৃতিও পায়।
What I've done গানটি transformers movie তে ব্যবহার করা হয।
2010 সালে তাদের পরবর্তী অ্যালবাম a thousand suns প্রকাশ পায়! New Divide, the catalyst, waiting for the endএর মতো সিঙ্গেল গুলো ব্যাপক জনপ্রিয়তা লাভ করে। এই এলবামের new divide গানটি transformers - revenge of fallen এ title track হিসেবে ব্যবহার করা হয়।
2011 সালে বেনিংটন জানায় যে তারা তাদের নতুন এলবামের উপর কাজ করছে। অবশেষে 2012 তে তাদের এই অ্যালবামের single music video একে একে প্রকাশিত হতে শুরু করে যমন burn it, down powerless, lies greed misery castle of glass.
powerless গানটি abraham lincon movie title track track হিসেবে ব্যবহার করা হয়। আবার দা castle of glass গানটি মেডেল অফ অনার বলে একটি ভিডিও গেমে title track হিসেবে ব্যবহার করা হয় যেটি কিনা পরবর্তীতে best video games song এরশিরোপা পায়।
2013 তে লিংকিন পার্ক জানায় তারা তাদের নতুন এলবামের উপর কাজ শুরু করে দিয়েছে যদিও এবার তারা এক্সপেরিমেন্ট করতে চলেছে তাদের নতুন গানের genre এর উপরে। অবশেষে 2014 তে তাদের এই নতুন অ্যালবাম hunting party রিলিজ হয়। যদিও এই অ্যালবামটি চরমভাবে ফ্লপ হয়। Guilty as the same, final masquerade ,until it's gone গানগুলি তাদের ফ্যানদের আশা পূরণ করতে অক্ষম হয়।
ব্যর্থতার মুখোমুখি হওয়া সত্বেও তারা তাদের পরবর্তী album one more light কম্পোজিশনের সময় তাদের music genre এর উপর এক্সপেরিমেন্ট চালাতে থাকে। one more light রিলিজ হওয়ার আগেই তারা ইন্টারভিউ বলে যে তারা কখনোই এক রকম মিউজিক করতে চান না যেখানে খালি alternative metal কিম্বা rap rock ই প্রাধান্য পাবে। 2017 তে তাদের সর্বশেষ অ্যালবাম one more light Heavy ft. Kiiara এর মিউজিক ভিডিও রিলিজ হয়। যা থেকে ফ্যানেরা অনুভব করে যে লিংকিন পার্ক তাদের বিশিষ্ট alternative rock genre থেকে সরে pop rock এ মনোনিবেশ করেছে। লিংকিন পার্ক ফ্যানদের একটা বিশাল অংশই এটি মেনে নিতে পারেনা। এরপর একের পর এক রিলিজ হয় talking to myself, one more light এর মতন গানগুলো! কিন্তু এই গানগুলোর মধ্যেও সেই pop rock touch থাকার জন্য লিংকিন পার্ক কে নিয়ে negative criticism হয়। ফলে সর্বত্রই তাদের একই প্রশ্নের মুখে পড়তে হয় যে তারা কেন তাদের নিজের genre ছেড়ে pop এ আসতে চাইছে। কিন্তু তা সত্বেওএই অ্যালবাম বিশ্বজুড়ে 1.1 লাখ কপি বিক্রি হয়।
অবশেষে টকিং টু মাইসেলফ মিউজিক ভিডিও প্রকাশের একদিন পরেই 20 জুলাই chester bennington এর dead body তার বাড়িতে পাওয়া যায়। Mike Shinoda টুইটারে টুইট করে জানান " shocked and heartbroken, but it's true. An official statement will come out as soon as we have one"
এইভাবে music industry একজন অসাধারণ ট্যালেন্টেড musician কে আবার হারায়।
আমি যতদূর জানি সেই সময়টা Chester, arizona তে তার স্ত্রীও সঙ্গে ভ্যাকেশন কাটাচ্ছিল। কিন্তু ফটোশুটের কারণে তাকে বাড়িতে আসতে হয় । তারপর 20 july সকাল নটায় তার মৃতদেহ ঝুলন্ত অবস্থায় ঘরের মধ্যে পাওয়া যায়।
মৃগাঙ্ক - হুট করে কোন মানুষ আত্মহত্যা করে নাকি? মানে আত্মহত্যার পেছনে তো কোনো কারণ থাকা দরকার?
সুরোজ সুরোজ- ডিপ্রেশন ছিলোনা তোকে কে বলেছে। একসময় চেষ্টার অত্যন্ত পরিমাণে drug addicted ছিল। এমনকি শেষ অব্দি চেষ্টার alcoholism ছাড়তে পারেনি। মারা যাওয়ার দিনও তার ঘরে একটি অর্ধেক ভর্তি wine bottle পাওয়া যায়। chester নিজেই স্বীকার করেছে যে 7 থেকে 13 বছর বয়সে ছোট বেলায় তাকে অনেকবার সেক্সুয়ালী অ্যাবিউস করা হয়েছিল । আর‌ সেখান থেকেই তার ডিপ্রেশনের শুরু । আর এই ডিপ্রেশন কমাতে drug অ্যালকোহলে সাহায্য নিতে হয়েছিল তাকে। আরো দুঃখের ব্যাপার এই যে chester মৃত্যুর 2 মাস আগে তার বন্ধু ক্রিস কর্নেল( soundgarden ব্যান্ডের ভোকালিস্ট) ঠিক একইভাবে suicide committee করেছিল। ফলে chester আরো deepest হয়ে পড়েছিeepest হয়ে পড়েছিল।
chester যে কি পরিমান ডিপ্রেশনে ভুক্ত সেটা তার লাস্টের অ্যালবামে প্রত্যেকটা গানের লিরিক্স ভালো করে শুনলেই বুঝতে পারবি!
মৃগাঙ্ক- যেমন?
সুরোজ - ( song - one more light)
"I don't like my mind right now
Stacking up problems that are so unnecessary.
I'm holding on
Why is everything so heavy" (song - heavy)
"I'm dancing with my demons
I'm hanging off the edge
You tell me it's alright
Tell me I'm forgiven
Tonight
But nobody can save me now" (song - nobody can save me now)
"So say goodbye and hit the road
Pack it up and disappear
You better have some place to go
'Cause you can't come back around here" (good goodbye)
এরকম লিরিক্স কেবলমাত্র একজন depressed লোকই লিখতে পারে।
প্রায় প্রতিটা গানই একই রকম কথা।
কিন্তু ব্যর্থতাটা কিন্তু তার নাম ব্যর্থতাটা আমাদের।
কিন্তু ব্যর্থতা টা আমাদের কোথায় জানিস? গানগুলোর লিরিক্স এর পেছনের আসল মর্ম আমরা তখন বুঝতে পারিনি , আমরা এখন বুঝছি! ব্যর্থতাটা আমাদের যে আমরা তাকে বাঁচাতে পারিনি। ব্যর্থ আমরা যারা আর তার গলা কখনো শুনতে পাবে না। কারন -
"Who cares if
a sky of a million stars
It flickers, flickers
Who cares when someone's time runs out?
If a moment is all we are
We're quicker, quicker
Who cares if one more light goes out?
Well I do" 


Post a Comment

Previous Post Next Post

Contact Form